• ঢাকা
  • শনিবার:২০২৪:এপ্রিল || ০১:০৯:৫৬
প্রকাশের সময় :
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২,
৫:৫৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২,
৫:৫৫ অপরাহ্ন

৪২৫ বার দেখা হয়েছে ।

রূপগঞ্জে নারীকে শ্লীলতাহানী, বাদীর পরিবারকে হুমকি

রূপগঞ্জে নারীকে শ্লীলতাহানী, বাদীর পরিবারকে হুমকি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের সোনাব এলাকায় সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুরসহ পুষ্প বেগম নামে এক নারীকে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় বাঁধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা আরো ২ নারীসহ ৫জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির জায়গার মালিকানা নিয়ে সোনাব গ্রামের মতিনদের সাথে পুষ্প বেগমের স্বামী জাকির হোসেনদের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। মামলায় পরাজয়ের আশঙ্কায় মতিন ও তার লোকজন জোরপূর্বক বিরোধী জমিতে মাটি ভরাট করতে যায়। এ সময় বাঁধা দিলে আব্দুল মতিন, রাসেল মিয়া, নাজমুল মিয়া, জাকির হোসেন, আবু বক্কও, কাদির মিয়া, ইসমাইল, মো. মামুন প্রতিপক্ষ জাকির হোসেনের স্ত্রী পুষ্প বেগমকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে হকি স্টিক দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বখাটে রাসেল ও নাজমুল ওই নারীকে টেনে হেচঁড়ে শরীরের কাপড় খুলে ফেলে। এসব দৃশ্য মোবাইল ধারণ করার সময় সন্ত্রাসী জাকির হেসেন, আবু বক্কর ৩টি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় একটি টয়লেট ও গোসলখানার বাউন্ডারী ভেঙে দেয়। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকলে পুষ্প বেগম ও তার পরিবারকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে পুষ্প বেগমের পরিবারের লোকজন বাড়িতে এসে আহত পুষ্প বেগম, সুচনা, নুর মোহাম্মদ, সুরুজ মিয়া, শান্তি আক্তারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে আসামিরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।
জমির মালিক জাকির হোসেন জানান, আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক মাটি ভরাট করতে আসলে বাঁধা দেয়া হয়। এ সময় পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকায় সন্ত্রাসীরা নারীদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে। মতিন বাহিনীর নামে একাধিক ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় বেশ কয়েকটি মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। এরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন জানান, আরএস রেকর্ডে তাদের নাম থাকায় ৭ শতাংশ জমিতে মাটি ভরাট করে নিজেদের দখলে নিতে গেলে প্রতিপক্ষ বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।