• ঢাকা
  • শনিবার:২০২৪:এপ্রিল || ০২:৩৯:৫৬
প্রকাশের সময় :
নভেম্বর ১৫, ২০২২,
৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
নভেম্বর ১৫, ২০২২,
৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

৩৬৬ বার দেখা হয়েছে ।

ফারদিন ও বিপ্লব হত্যার ধরন একই

ফারদিন ও বিপ্লব হত্যার ধরন একই

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি উপ-কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লব হত্যার ধরন একই। তাদের মধ্যে ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এবং দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের দু’জনকেই মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হত্যার পর দু’জনকেই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাঁও এলাকা থেকে দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করে পাগলা নৌ-পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

রবিবার (১৩ নভেম্বর) মৃতের বোন স্বাশতী বিপ্লব পুলিশের কাছে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। দুরন্ত বিপ্লব মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি কৃষি খামারের মালিক ছিলেন।

এর আগে রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে পকেটে থাকা মোবাইল ফোনের সিম দিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ শনাক্ত হয়।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরা থানায় নিখোঁজের একটি জিডি করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শেখ ফরহাদ জানান, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর উদ্ধার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার মাথার বিভিন্ন অংশে ও বুকের ভেতরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছি এটা হত্যাকাণ্ড।

তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। নিহতের মাথায় অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুকেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। এটিকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুজনের মৃত্যুর কারণ মনে করা হচ্ছে হত্যা এবং ধরন একই। একইভাবে দু’জনকে আঘাতে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।