• ঢাকা
  • শুক্রবার:২০২৪:এপ্রিল || ১৮:১৩:২২
প্রকাশের সময় :
মে ৩০, ২০২২,
৮:১৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
মে ৩০, ২০২২,
৮:১৭ অপরাহ্ন

২৪৬ বার দেখা হয়েছে ।

বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না

বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালে যারা দেশে একটিও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেনি, সেই বিএনপি যখন মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচার করে দেশবাসীর মনে তখন বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ আসলে বুঝে গেছে, ঈর্ষান্বিত বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না।

সোমবার (৩০ মে) নিজ বাস ভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা শয়তানি কারবার’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগেরও সমালোচনা করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সম্পদ কেউ যদি পাচার করে এবং পরবর্তীতে সেটা যদি ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে তা-তো ভালো উদ্যোগ। শয়তানি কারবার হবে কেন? বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা শুনে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরছে কেন? কিসের এত ভয়? আপনার বক্তব্য শুনে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তবে কি আপনারা আপনাদের পাচার করা অর্থ দেশে ফিরে আসার আতঙ্কে ভুগছেন?

‘আওয়ামী লীগ একদিনও ক্ষমতায় থাকলে বিএনপিরই ক্ষতি’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ক্ষতির কথা বলেছেন সে ক্ষতির অংকটা বলেননি। প্রতিদিন যে পরিমাণ সম্পদ লুট করতে পারতো বিএনপি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এখন থাকায় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেই মির্জা ফখরুলের মন খারাপ।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের নানা কারণে মন খারাপ। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে। সেজন্যই তাদের মন খারাপ।

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আসলে জনস্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কীভাবে টাকা লুটপাট করা যায়। লুটপাট আর লুণ্ঠন করতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতারা। তাই জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা না করে শুধু টাকার গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনস্বার্থ এবং ব্যয় সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই যেকোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও কমবেশি এক কিলোমিটার দূরত্বে মেট্রোরেলের স্টেশন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সমীক্ষা এবং পরামর্শকের পরামর্শ অনুযায়ী জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈর্ষান্বিত বিএনপির নেতারা এসব প্রকল্প সম্পর্কে না জেনে, না বুঝে একেক সময় একেক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।