• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার:২০২৪:এপ্রিল || ০৬:১৩:৪০
প্রকাশের সময় :
অগাস্ট ৩, ২০২২,
৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
অগাস্ট ৩, ২০২২,
৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

৩৭৪ বার দেখা হয়েছে ।

না.গঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. তৈমুর কোথায়: বেনু খান

না.গঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. তৈমুর কোথায়: বেনু খান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের কেন্দ্রিয় কমিটির সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সামছুর রহমান বেনু খান বলেছেন- তিনি ১৯৭০ সাল থেকে রাজনীতি করছেন। বসবাস করতেন ঢাকার কয়দে আজম কলেজে। সোয়ারীঘাট মোড়, লালবাগের কেল্লায় আড্ডা হতো। সিদ্ধান্ত হতো কোথায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল হবে। ঢাকার লক্ষীবাজার মোড়ে ১৭৫৭ সালে স্থাপিত স্মৃতিসৌদের কাছে জমায়েত হয়ে রেসকোর্স ময়দানে রওনা হতাম। তখন আইয়ুব খান বিরোধী মিছিল হতো। তখন পাঞ্জাব, বিহার এবং বাঙ্গালী এক সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করতাম। হেলাল উদ্দীন ভাই থাকতেন বাংলাবাজার। তিনি বলতেন- জীবন দেবো, তবুও পিছু হটবো না। হেলাল ভাইয়ের আদর্শ মজলুম জননেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের মাঝে পেয়েছি। এখন অনেকেই জিয়ার আদর্শের সৈনিক বলে স্লোগান দেয়। কিন্তু মাঠে কাউকে পাওয়া যায় না। শুধু দেখা মিলতো অ্যাডভোকেট তৈমুরকে। এখন তাকেও দেখা যায় না।

২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলার ঘটনায় ২২ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়। সেদিন তৈমুর ছিলেন ঢাকার হাইকোর্টে। ওই মামলায় প্রধান আসামী হন তৈমুর। এর পর একের পর এক নির্যাতন শুরু হয় তৈমুরের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিএনপি ছাড়েননি। ২০০৮ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেন তিনি। কিন্তু ভোট গ্রহণের ৭-৮ ঘন্টা আগে বিএনপির কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে আসতে হয় তাকে। তারপর দল থেকে রূপগঞ্জ আসনে জাতীয় নির্বাচনের টিকিট পান তৈমুর। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন আমলে জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করেন।

২০১৯ সালে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও দল তৈমুরকে মনোনয়ন দেয়নি। দেয়া হয় কাজী মনিরুজ্জামানকে। তিনি ৩বার জাতীয় নির্বাচন করলেও বিপুল ভোটে পরাজিত হন বিপক্ষ দলের নেতার কাছে। ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সেলিনা হায়াত আইভি নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন পান। বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় এবং লক্ষ জনতার অনুরোধে তৈমুর আলম খন্দকার জনতার প্রার্থী হিসেবে হাতি মার্কায় মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটি তৈমূর আলমকে দল থেকে বহিস্কার করে। শুরু হয় দলীয় কোন্দল, গ্রুপিং। বিএনপি ডুবে যায় শীতলক্ষ্যায়। অথচ এখন পর্যন্ত তৈমূরের নামে ৪০টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। বহুবার হাজতবাস করেছেন তিনি।

বিএনপির বহু নেতা সংস্কারপন্থি হয়েছেন। নিজেকে বাঁচাতে বিএনপির সাবেক অনেক এমপি, মন্ত্রী জিয়া পরিবারের সাথে মীরজাফরী করেছেন। কিন্তু তৈমূর পরিবার এখনো বিএনপির সাথেই রয়েছে। তৈমূরকে দল থেকে বহিস্কারের পর অদ্যবধি কোনো বড় কোনো সভা, সমাবেশ করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। রাজপথে দেখা মিলেনি কাউকে। যারা মাঠে আছে তারাও আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলে। কোথায় গেল তৈমুর, কোথায় যাচ্ছে বিএনপি। কারা নির্যাতিত ও রাজপথের নেতা হিসেবে তৈমূেরর বহিস্কারাদেশ তুলে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে বাঁচান। অন্যথায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় আগামীতেও জাতীয় নির্বাচনে কোনো আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।  বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামাদলের যাত্রামুড়াস্থ কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে সামছুর রহমান খান বেনু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।