ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার ধুনটে দশম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় কলেজ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত কলেজ শিক্ষকের নাম মুরাদুজ্জামান (৪৮)। তিনি উপজেলার জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক এবং এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধুনট বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে ধুনট থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট দক্ষিণ অফিসারপাড়ার কলেজ শিক্ষক দম্পতির তিনতলা বাসার নিচতলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটে দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করতেন। দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন লম্পট শিক্ষক মুরাদুজ্জামান। চাকরির সুবাদে ওই দম্পতি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাসার বাহিরে থাকতেন। আর এই সুযোগ নিতেন ওই লম্পট শিক্ষক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ মার্চ ওই শিক্ষক ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পুনরায় ২৪ মার্চ, ৫ এপ্রিল ধর্ষণ করে। গত ১২ এপ্রিল লম্পট মুরাদুজ্জামান শিক্ষক দম্পতির ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিমের চিত্কার করলে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়।

লম্পট শিক্ষক মুরাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধু বালা জানান— ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এবং দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা হতে বগুড়া জেলা আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।