• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার:২০২৪:এপ্রিল || ০৩:২০:০৭
প্রকাশের সময় :
জানুয়ারী ২০, ২০২৩,
৫:৪৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
জানুয়ারী ২০, ২০২৩,
৫:৪৬ অপরাহ্ন

৪১৪ বার দেখা হয়েছে ।

ছুটির দিনে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা, দর্শনার্থীদের ভিড়

ছুটির দিনে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা, দর্শনার্থীদের ভিড়

ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। মেলার ২৭তম আসরের ২১তম দিনে দুপুর থেকে বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। মেলার স্টলে স্টলে ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। তবে মেলার আয়োজকরা জানান, মেলা জমে উঠেছে। প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি লোক সমাগম হয়েছে।
ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে দ্বিতীয় বারের মতো মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আসর বসেছে। মেলার শুরু থেকে লোক সমাগম একেবারে কম ছিল। তার ওপরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। তবে ১১তম দিন থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুপুর থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের পদচারনা বাড়তে শুরু করে। বেলা গড়িয়ে বিকেল হতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। দোকানে বাড়তে শুরু করে বেচা বিক্রি। মেলায় নারী ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ক্লে ইমেজ সিরামিকসের সত্ত্বাধিকারী ও প্রতিষ্ঠাতা রেহানা আক্তার। তিনি বলেন, আজ বেচা বিক্রি বেড়েছে। দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। আশা করছি দিন দিন বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাহিরে অনেক দেশে আমাদের পণ্য যাচ্ছে।
একই কথা বললেন ড্রেস লাইন বাংলাদেশ স্টলের বিক্রেতা রুবেল হোসেন। তিনি বলেন, শুক্রবার ও শনিবার অনেক ক্রেতা আসছেন। গত কয়েক দিনের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ নবগ্রামের বাসিন্দা মো. সাকের মিয়া বলেন, ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে এলে বাণিজ্যমেলায় বেকায়দায় পড়তে হয়। অনেক লোক সমাগম হয়। মেলা জমে উঠেছে।
ছুটির দিনে মেলার সার্বিক বিষয়ে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা যেই দর্শনার্থী প্রত্যাশা করেছিলাম সেই প্রত্যাশা পূরন হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার প্রায় ২ লাখ করে দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে মেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন আয়োজকরা। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনও ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা আছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করছে। বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট ও বাস ভাড়া অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে।