
রূপগঞ্জের পূর্বাচলে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ব্যবসায়ী সুমন ও তার বন্ধুদের মারধর করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যবসায়ী সুমনের স্ত্রী সিলমী জাহান যুথি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আসামিরা হলেন- উপজেলার বাঘবের এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রিটন, জাঙ্গীর এলাকার সানাউল্লাহ মোল্লার ছেলে মো. শিমুল, রফিজউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. মামুন মিয়া, বৌরারটেক এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ জন।
মামলার বাদী সিলমী জাহান যুথি জানান, তার স্বামী মো. সুমন একজন ইট বালু ব্যসায়ী। আর হামলাকারী মাদক সেবী ও সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় সুমনের কাছে টাকা চেয়ে ঝগড়া করতো। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট বিকালে রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপ শহরের ২ নম্বর সেক্টরে একটি টিনের দোকানে অপকর্ম করতো। এমন কথা জানতে পেরে সুমন আসামি শিমুল ও তারিকুলকে জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ করে চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টায় সুমন ও তার বন্ধু মো. মুরাদ, মো. মোবারক হোসেন ও মো. রিফাত মিয়া কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামি রিটন তাদের ডেকে নিয়ে আসামি মামুনের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে আরও প্রায় ৩০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমনকে করে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও তার বন্ধু মুরাদের পকেটে থাকা ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা, আরেক বন্ধু মোবারকের পকেটে থাকা ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আসামি লিটনের নির্দেশে অন্যরা গ্যালন ভর্তি পেট্রোল তাদের শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তখন তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শরীরের আগুন নিভিয়ে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, এই ঘটনায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।