• ঢাকা
  • মঙ্গলবার:২০২৩:ডিসেম্বর || ০৮:৩২:৪২
প্রকাশের সময় :
মে ২৬, ২০২২,
৫:৪৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
মে ২৬, ২০২২,
৫:৪৪ অপরাহ্ন

৫৮ বার দেখা হয়েছে ।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফের দাবি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

গত কয়েকদিনে সারাদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সংগঠনের সভাপতি আলমগীর হোসেন দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হাবিব সাঈদের যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে গত কিছুদিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে গেল। তাছাড়া প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে শুরু হয়েছে প্রবল বন্যা। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ এমন সময়ে দেখা দিয়েছে, যখন অধিকাংশ অঞ্চলে মাঠে আছে পাকা বোরো ধান। কয়েক সপ্তাহ আগে হাওরাঞ্চলে একইভাবে পাকা ও আধাপাকা ধান অকাল বন্যার শিকার হয়েছিল।

ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত এ বর্ষণে এবার বাকি অঞ্চলের ধানও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কৃষকের ঘরে ওঠেনি। কৃষকরা যখন বছরের প্রধান মৌসুমের প্রধান ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব ধানগাছ মাটিতে পড়ে, পানিতে ডুবে যায়। কাটতে না পারার কারণে ধানের শীষে চারা গজিয়েছে। ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এ বর্ষণে।

তারা বলেন, অবিলম্বে মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে দ্রুত তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সবকিছুর আগে দিশেহারা কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, বোরো মৌসুম কেবল কৃষকের জন্য ব্যক্তিগতভাবে প্রধান খাদ্য ও অর্থকরী অবলম্বন নয়, এর সঙ্গে দেশের সামগ্রিক খাদ্যশস্য উৎপাদনের বিষয়টিও জড়িত।

এমনিতেই অতীতে যে কোনো সময়ের চাইতে বিদ্যুৎ ও ডিজেলসহ উৎপাদন সামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ পড়েছে অনেক বেশি। নানা কারণে কৃষি বিশেষত ধান উৎপাদন গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। এখন যদি নতুন বিপত্তি হিসেবে বর্ষণে কৃষকের ধান, ফসল ডুবে যায়, তাহলে সবারই বিপদ। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অতিদ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতিপূরণ ও প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘নিয়মিত’ যে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দেখা যায়, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে।