
রূপগঞ্জ উপেজলার চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন মিয়া ওরফে সিটি শাহীন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এ তথ্য তোলপাড়নিউজকে নিশ্চিত করে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
তিনি জানান, ‘সিটি শাহীনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রয়েছে। আমরা ধরতে গিয়ে ছিলাম। দুপুর ২টার দিকে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সিটি শাহীনসহ ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ আমাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে। আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে একটি গুলি সিটি শাহীনের পায়ে লাগে। বাকিরা পালিয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিটি শাহীনকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আমরা নিয়ে আসি। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
শাহীন মিয়া ওরফে সিটি শাহীন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বজলুর রহমানের অনুসারী বলে জানা গেছে। র্যাব জানিয়েছে সিটি শাহিনের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা, ৩টি মারামারি, ১ পুলিশের উপর হামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন এবং মাদক মামলাসহ ২৩টি মামলা ছিল।
সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে রূপগঞ্জের চনপাড়া মেইন রোডে নুরজাহান ফার্মেসির সামনে পাকা রাস্তায় র্যাব-১, সিপিসি-১ এর অভিযানিক দলের সাথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় নির্বাহী তদন্তের জন্য ১০ নভেম্বর সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জে গণশুনানীর সময় ছিল।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, ২৮ সেপ্টেম্বরও সিটি শাহীন আমাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে ছিল। তবে, সৌভাগ্যবসত তার পিস্তল থেকে গুলি বের হয় নাই। আমরা দেখেছি, সে পিস্তল তাক করে আমাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ার চেষ্টা করেছে।
গণশুনানীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ১০ নভেম্বরের গণশুনানীর বিষয়টি আমার জানা নেই।