• ঢাকা
  • সোমবার:২০২৩:সেপ্টেম্বর || ০৩:৫১:১১
প্রকাশের সময় :
অক্টোবর ১৯, ২০২২,
৯:০৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
অক্টোবর ১৯, ২০২২,
৯:০৪ অপরাহ্ন

৪৭ বার দেখা হয়েছে ।

‘ক্ষমতা হারালে প্রথম রাতেই আ.লীগের ৩ লাখ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হবে’

‘ক্ষমতা হারালে প্রথম রাতেই আ.লীগের ৩ লাখ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হবে’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনার সরকার না থাকে, তাহলে প্রথম রাতেই কমপক্ষে তিন লাখ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হত্যার শিকার হবেন। তাই দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওরে ডিএন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেন, নেতা-কর্মীরা যদি এক ও অভিন্ন থাকে তাহলে বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নাই, যারা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি কী পেলাম আর কী পেলাম না সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার এই দেশে সরকার গঠন করবে এটাই আমাদের শপথ।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, ভবিষ্যতে লাঠি-মিছিল করার চিন্তাভাবনা করবেন না। আপনারা লাঠি নিয়ে বের হলে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তসবি নিয়ে মাঠে নামবে না। আপনাদের লাঠির জবাব আমরা লাঠি দিয়েই দেব। তখন কিন্তু পালাবার কোনো পথ পাবেন না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করবে এমন কোনো রাজনৈতিক দল বা শক্তি বাংলাদেশে নেই। তাই আমাদের রাজপথের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।

আট বছর পর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুল আলীম ওরফে মিন্টু এবং এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হামিদুর রহমান নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন। সম্মেলনের প্রথম পর্বে দলের সাংগঠনিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল মজিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান প্রমুখ।

বিকেলর দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে চারজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আটজন প্রার্থী ছিলেন। তাদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উত্থাপনের নির্দেশনা দেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে সমঝোতা না হওয়ায় উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্মতিতে সভাপতি পদে আবদুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে হামিদুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।